ফিনিক্স পাখি: রুপকথায়- আগুনে জন্ম যে পাখির
ফিনিক্স পাখির কথা আমরা সবাই শুনি বা জানি, কিনতু আপনি দেখছেন কি কখনও? না
দেখা সম্ভব নয়?যে পাখি নেই তা আপনি দেখবন কি ভাবে?
কল্পনা আর পৌরণিক রুপকথায় বা পুরাণকথায় (mythology) তে যে পাখির জন্ন ও মৃত্যু
নেই, তা কি আদও দেখা সম্ভব ? না কখন ও না?
আসুন জানি ফিনিক্স পাখি নিয়ে প্রচলিত পৌরণিক কথা গুলো।
অনেক দিন পর হটাৎ করেই ফিনিক্স পাখি সামনে আসে লেখিকা জে কে রোলিং কল্যানে ,
বুঝতেই পারছেন হ্যারি পটারের কথা বলছি। হ্যারি পটারের দ্বিতীয় পর্বে লেখিকা
পাঠকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন টুকটুকে লাল এক পোষা ফিনিক্স পাখির, যার
অশ্রুজলে সুস্থ হয়ে ওঠে মৃত্যুর মুখে পতিত হ্যারি। যে প্রচলিত মিথের উপর এই ছবির
অংশ বিশেষ তৈরী তা হলো - প্রচলিত লোককাহিনী মতে, ফিনিক্স পাখিকে হিংসুকেরা
আঘাত করলে এর পালক থেকেও জন্ম নেয় নতুন প্রাণ। এদের চোখের পানিও বদলে
দিতে পারে কারও জীবন ।
তখন থেকে হালে নতুন করে সবার সামনে আসে কল্পনার ভালোবাসায় মিশ্রিত অদ্ভুত এক পাখি ফিনিক্স (phoenix)পাখি!
আর ফিনিক্স পাখি নিয়ে যে মাইথলজি আছে তা সংক্ষেপে বললে এরকম: গ্রীক উপকথায়এক চিরঞ্জীব আগুনপাখির নাম ফিনিক্স। গ্রিক ভাষায় phoenix মানে ‘দি ব্রিলিয়ান্ট ওয়ান’ কিংবা পার্পল বা লাল এবং নীলের মিশ্রণে সৃষ্ট রং। প্রাচীন মিথ অনুসারে ওই আগুনরঙা ফিনিক্স পাখিটি ৫০০ বছর বেঁচে থাকত। জীবনের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে পাখিটি একটি নীড় তৈরী করত, তারপর সে নীড়ে ধরিয়ে দিত আগুন। সে আগুনে ফিনিক্স পাখিটি পুড়ে ভস্মিভূত ছাই থেকে আবার জন্ম নিতো আরেকটি অগ্নিবর্ণ ফিনিক্স পাখি। তারপর নতুন ফিনিক্স পাখিটি হেলিওপোলিস নামে প্রাচীন মিশরের একটি নগরে গিয়ে সূর্য দেবতাকে শ্রদ্ধা জানাতে। এমন সব বিচিত্র স্বভাবের অধিকারী ছিল এই ফিনিক্স পাখি।
প্রথম ফিনিক্স পাখির কল্পনায় একোছিলো ফিনিশিয় সভ্যতা। ফিনিশিয় (Phoenicia) সভ্যতা আর ফিনিক্স পাখির গ্রিক নামের মধ্যে একটি যোগসূত্র পাওয়া যায়। প্রাচীন মিশরে ফিনিক্স পাখিকে বলা হত বেনু বা বেন্নু। মিশরীয় ধর্মে এই বেনু পাখি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। আসলে বেনু হল এক ধরণের পার্পল হিরণ। নীল নদের প্লাবনের সময় নীল রঙের সুন্দর এই পাখিটি আশ্রয় নেয় উঁচু জায়গায় । তখন মনে হয় পানিতে সূর্য ভাসছে। এই কারণে এ পাখির নাম হয়েছে ‘উদিত জন’ বা ‘দি অ্যাসেন্ডিং ওয়ান’ মানে, যা উঠছে, যা মনে করিয়ে দেয় সূর্য দেবতা ‘রা ’ কে। প্রাচীন মিশরে আত্মাকে বলা হত,‘বা। বেনু পাখিকে সূর্য দেবতা ‘রা ’ এর আত্মা মনে করা হত। এভাবেই পার্পল হিরণ পাখিটির নাম হয়, বেনু বা বেন্নু। হেলিওপোলিস মানে সূর্যের নগরী। এটি প্রাচীন মিশরে অবস্থিত ছিল। প্রাচীন হেলিওপোলিস নগরে অধিবাসীরা বেনু পাখি কে ভীষণ শ্রদ্ধা করত।
ফিনিক্স দেখতে অপূর্ব সুন্দর। এর পালক ও লেজ সোনালি ও টকটকে লাল রঙের। কারণ,
লাল রং সূর্যর প্রতীক। ফিনিক্স পুর্নজন্ম ও নিরাময়ের প্রতীক। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর
নতুন জীবনের দিকনির্দেশনা। সূর্যর অস্ত যাওয়া ও উদয় হওয়া মানবজীবনের জীবন-
মৃত্যুর রূপকও বটে। ফিনিক্স পাখি কে মনে করা হতো শান্তির প্রতীক রুপে ।
আমার কয়েক'টা আটিক্যালের লিংক, এখানে ক্লিক করেই পড়তে পারেন-
কি ভাবে আপনার সন্তানের সাথে সেক্স নিয়ে কথা বলবেন?
ঝিনুকে মুক্তো হলে চুপ হয়ে যায় মুখ খোলে না!
পথে পথে চলতে চলতে হঠাৎ একদিন থেমে যাবো
পৃথিবীতে অনেক খারাপ মানুষ আছে, কিন্তুএকটাও খারাপ বাবা নেই, কেন?