আপনার মৃত বাবা- মা’র জন্য আপনিই দোয়া করুন- কি কি দোয়া ও আমল করবেন?
প্রতিটা বাবা মা তার সন্তানকে ঠিকভাবে প্রতিপালন করার জন্য এই দুনিয়াতে কত যে কষ্ট করেন, তা আসলে বর্ণনাতীত। এই কলিজার টুকরা সন্তানদের ছেড়ে, এই দুনিয়াবি সহায় সম্পদ সব ছেড়ে দিয়ে প্রতিটা বাবা মা ই একসময় আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে নিজের ঘর বানায় অন্ধকার কবরে।
অনেক অবুঝ সন্তান আছেন, যারা তাদের মৃত বাবা মায়ের জন্য অঝোরে চোখের পানিতে বুক ভাসান। তাদের প্রিয় বাবা মা আজ অন্ধকার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন, এটা মেনে নিতে তাদের বুক ফেটে যায়! কিন্তু শুধু কেঁদে বুক ভাসালেই কি মৃত বাবা মায়ের আত্মা শান্তি পাবে? নাকি সু-সন্তান হিসেবে আপনার কোন দায়িত্ব আছে আপনার কবরের বাসিন্দা বাবা মায়ের জন্য?
'মানুষ মৃত্যু বরণ করলে তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়,তবে তিনটি আমল কখনো বন্ধ হয় না।সাদকায়ে জারিয়া, এমন জ্ঞান ,যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় এবং নেক সন্তান যে তার মৃত বাবা মায়ের জন্য সবসময় দু'আ এবং আমল করে'- সহিহ মুসলিমঃ৪৩১০
হ্যাঁ এক নেক সন্তান কেবল দুনিয়াবি না, বরংচ ইহকাল এবং পরকাল সবখানেই তার বাবা মায়ের জন্য কল্যাণকর হয়ে থাকেন।
কোরআন ও সুন্নাহর অনুযায়ী মৃত বাবা মায়ের জন্য একজন নেক সন্তান কি আমল বা দোওয়া করলে তাদের বাবা মায়ের জন্য তা উপকার হয়ে তাদের কাছে পৌছাবে আজকের আর্টিকেলে আমরা ইন শা আল্লাহ তা বিশদ আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
১. অনেক বেশি দু'আ করুনঃ
মৃত বাবা মায়ের জন্য যত বেশি দু'আ করবেন, তাদের জন্য ততই আল্লাহর রহমত বেড়ে যাবে। আমাদের পবিত্র কুরআন শরীফে স্পষ্টতই বর্ণনা করা হয়েছে আপনার মৃত বাবা মায়ের জন্য আপনি কি দু'আ এবং কি আমল করবেন।
আল-কুরআনে বলা হয়েছে-
رَبِّ ٱرۡحَمۡهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرٗا ٢٤ ﴾ [الاسراء: ٢٤]
“হে আমার রব, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন’’ [সূরা বানী ইসরাঈলঃ ২৪]
رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ يَوۡمَ يَقُومُ ٱلۡحِسَابُ ٤١﴾ [ابراهيم: ٤١]
‘‘হে আমাদের রব, রোজ কিয়ামতে আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সকল মুমিনকে ক্ষমা করে দিন’’ [সুরা ইবরাহীমঃ৪১]
এসব দু'আ সমুহ ছাড়াও আরো একটা বিশেষ দু'আ যা আল্লাহ সুবহানাতা'য়ালা তার বান্দাদের বলেছেন যেন তাদের মৃত বাবা মায়ের জন্য বিশেষভাবে করে -
رَّبِّ ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيۡتِيَ مُؤۡمِنٗا وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِۖ وَلَا تَزِدِ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا تَبَارَۢا ٢٨ ﴾ [نوح: ٢٨
‘হে আমার রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করুন এবং ধ্বংস ছাড়া আপনি যালিমদের আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না ’[সূরা নুহ: ২৮] ।
২. বেশি বেশি দান-ছাদকাহ করুনঃ
জীবিত সন্তানের দান ছাদকাহ মৃত বাবা মায়ের জন্য তাদের আমলনামায় অশেষ বরকত হয়ে যোগ হয়ে থাকে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-কে বলেন, ‘আমার বাবা মারা গেছেন। তিনি সম্পদ রেখে গেছেন, তবে কোনো অসিয়ত করে যাননি। আমি যদি তার জন্য সদকা করি, তবে কি তাঁর পাপ মার্জনা হবে? তিনি বলেন, হ্যাঁ।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪০০১)
৩.আপনার বাবা মায়ের হয়ে সিয়াম পালন করুনঃ
আপনার মৃত বাবা মায়ের কাজা রোযা থাকলে তাদের হয়ে আপনি তা আদায় করে দিন। এ প্রসঙ্গে আমাদের রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বাবা মায়ের কাজা রোজা কে তাদের ঋণের সাথে তুলনা করেছেন যা একজন সু-সন্তান হিসেবে আপনার যত দ্রুত সম্ভব আদায় করা উচিৎ। (সহিহ বুখারি হাদিস নং ১৮৫২ তে বর্ণনা করা হয়েছে)। এছাড়াও আপনি আপনার মরহুম বাবা মায়ের জন্য নফল রোযা ও রাখতে পারেন।
৪. বাবা মায়ের হয়ে হজ্জ বা উমরাহ আদায় করুনঃ
যদি আপনার বাবা মা মারা যাওয়ার আগে হজ্জ বা উমরাহ পালন করার ইচ্ছা পোষণ করে গিয়ে থাকেন, আপনার বাবা মায়ের পক্ষ থেকে হজ্জ বা উমরাহ আপনিও আদায় করতে পারেন। এতে তারা সওয়াব পাবে ইন শা আল্লাহ।
৫. বাবা মায়ের ওসিয়ত পরিপূর্ণ করুনঃ
আপনার মৃত বাবা মা জীবিত কালে যদি কোন ওসিয়ত করে গিয়ে থাকেন(লিখিত অথবা মৌখিক), তা পরিপূর্ণ করুন।
৬. বাবা মায়ের বন্ধু অথবা আত্বীয় দের সাথে সুসম্পর্ক রাখুনঃ
আপনার মৃত বাবা মায়ের আত্বীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখুন। তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখুন। এবং যে কোন প্রয়োজনে তাদের দিকে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। তারা আপনার উপর সন্তুষ্ট হয়ে আপনি এবং আপনার মরহুম বাবা মায়ের জন্য দু ‘আ করলে সেটাও আপনার বাবা মায়ের জন্য কল্যাণেকর এবং বরকতময় হবে ইন শা আল্লাহ।
৭.ঋণ বাকী থাকলে তা পরিশোধ করুনঃ
আপনার পিতামাতার রেখে যাওয়া ঋণের বোঝা কিন্তু আপনারই কাধে। সুতরাং যত শীগগির সম্ভব এই বোঝা আপনার কাধ থেকে সরানোর ব্যবস্থা করুন এবং আপনার পিতামাতার দুনিয়াবি ঋণ থেকে তাদের মুক্ত করুন।
৮.কাফফারা আদায় করুনঃ
আপনার মৃত পিতামাতা যদি আল্লাহর নামে শপথ করে গিয়ে থাকে অথবা ভুল করে কাউকে খুন করে থাকে, তাহলে সন্তান হিসেবে আপনাকে এসবের কাফফারা আদায় করতে হবে।
আল-কুরআনে বলা হয়েছে,
﴿وَمَن قَتَلَ مُؤۡمِنًا خَطَٔٗا فَتَحۡرِيرُ رَقَبَةٖ مُّؤۡمِنَةٖ وَدِيَةٞ مُّسَلَّمَةٌ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِۦٓ إِلَّآ أَن يَصَّدَّقُواْۚ ﴾ [النساء: ٩٢]
অর্থ: যে ব্যক্তি ভুলক্রমে কোন মুমিনকে হত্যা করবে, তাহলে একজন মুমিন দাসকে মুক্ত করতে হবে এবং দিয়াত (রক্ত পণ দিতে হবে) যা হস্তান্তর করা হবে তার পরিজনদের কাছে। তবে তারা যদি সদাকা (ক্ষমা) করে দেয় (তাহলে সেটা ভিন্ন কথা) [ সূরা আন-নিসা:৯২]
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন,
« مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَلْيَأْتِهَا وَلْيُكَفِّرْ عَنْ يَمِينِهِ ».
অর্থ: ‘‘ যে ব্যক্তি কসম খেয়ে শপথ করার পর তার থেকে উত্তম কিছু করলেও তার কাফফারা অদায় করবে’’ [সহীহ মুসলিম: ৪৩৬০] ।
৯. বাবা মায়ের হয়ে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করুনঃ
যখনি কোন মজলিস এ একত্রিত হবেন সবার সাথে, সবার কাছ থেকে আপনার পিতামাতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন সবার কাছে। হাদিসে বলা হয়েছে-
«عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : أَتَدْرُونَ مَنِ الْمُفْلِسُ ؟ قَالُوا : الْمُفْلِسُ فِينَا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ لاَ دِرْهَمَ لَهُ ، وَلاَ مَتَاعَ لَهُ ، فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : الْمُفْلِسُ مِنْ أُمَّتِي يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِصَلاَتِهِ وَصِيَامِهِ وَزَكَاتِهِ ، فَيَأْتِي وَقَدْ شَتَمَ هَذَا ، وَأَكَلَ مَالَ هَذَا ، وَسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا ، فَيَقْعُدُ ، فَيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ ، وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ ، فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يُعْطِيَ مَا عَلَيْهِ أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ ، فَطُرِحَ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرِحَ فِي النَّارِ».
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা কি জান নিঃস্ব ব্যক্তি কে? সাহাবীগণ বললেন, আমাদের মধ্যে যার সম্পদ নাই সে হলো গরীব লোক। তখন তিনি বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে সে হলো গরীব যে, কিয়ামতের দিন নামায, রোযা ও যাকাত নিয়ে আসবে অথচ সে অমুককে গালি দিয়েছে, অমুককে অপবাদ দিয়েছে, অন্যায়ভাবে লোকের মাল খেয়েছে, সে লোকের রক্ত প্রবাহিত করেছে এবং কাউকে প্রহার করেছে। কাজেই এসব নির্যাতিত ব্যক্তিদেরকে সেদিন তার নেক আমল নামা দিয়ে দেয়া হবে। এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। [সুনান আততিরমিযি :২৪২৮]
কাজেই সবার কাছে আপনার পিতামাতার জন্য বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করার কোন বিকল্প নেই।
এছাড়াও প্রত্যেক মোনাজাত এ বাবা মায়ের নাম ধরে তাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে বিশেষ ভাবে প্রার্থনা করবেন।
১০. বাবা মায়ের ভালো কাজসমুহ কন্টিনিউ করুনঃ
আপনার বাবা মায়ের রেখে যাওয়া ভালো কাজ যেমন, উনারা হয়তো কোন স্কুল, কলেজ,মসজিদ, মাদ্রাসা অথবা এতিমখানা স্থাপিত করে গেছেন।সুসন্তান হিসেবে আপনার দ্বায়িত্ব হচ্ছে এসব দ্বীনি কাজ যেন সবসময় চালু থাকে তা নিশ্চিত করা। এ ছাড়াও আপনার পিতামাতার লাগিয়ে যাওয়া ফলবান বৃক্ষ, যা মানুষকে ছায়া এবং ফল দিয়ে সাহায্যে করে আসছে, সেসব বৃক্ষের রক্ষণাবেক্ষণ যথাযথ ভাবে নিশ্চিত করুন।
১১. কোন মান্নত বাকী থাকলে তা পূরণ করুনঃ
আপনার বাবা মা কি জীবিতকালে কোন মান্নত যেমন, “আমার ছেলে সুস্থ হলে আমি একমাস রোযা রাখবো” এরকম বলে গেছেন? যদি উনারা এরকম মান্নত করে গিয়ে থাকেন এবং তা পালন করার আগেই মারা যান তাহলে আপনি তা পূরণ করুন।
১২. বেশি বেশি তাদের কবর জিয়ারত করুনঃ
আপনার বাবা মায়ের কবর বেশি বেশি জিয়ারত করুন। অনেকেই আছে শুধুমাত্র বাবা মায়ের জন্মদিন অথবা মৃত্য দিনে তাদের কবর জিয়ারত করেন। এরকম কোন নির্দিষ্ট দিনে পিতামাতার কবর জিয়ারত করা বাদ দিয়ে তা অন্যান্য রেগুলার কাজের মত ডে টু ডে অভ্যাসে পরিণত করুন।
কবর যিয়ারত করার সময় নিন্মলিখিত দু'আ করবেন-
«السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ ، نَسْأَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ».
অর্থ: কবরবাসী মুমিন-মুসলিম আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক । নিশ্চয় আমরা আপনাদের সাথে মিলিত হবো। আমরা আল্লাহর কাছে আপনাদের এবং আমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। [সুনান ইবন মাজাহ :১৫৪৭]
১৩. তাদের গুনাহের কাজগুলো বন্ধ করে দিনঃ
আপনার পিতামাতার কোন গুনাহের কাজ যেমন, গান অথবা নাচের স্কুল ইত্যাদি যদি প্রতিষ্ঠা করে গিয়ে থাকে তা যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করুন।
১৪. কোন ওয়াদা করে গেলে তা রক্ষা করুনঃ
ওয়াদা ভঙ্গকারীদের জন্য কঠিন আযাব রয়েছে কবরে, এটা আমরা সব মুসলমানেরা জানি। তাই আপনার পিতামাতা যদি কোন ওয়াদা পালনে ব্যর্থ হয়, অথবা পালনের আগেই মারা গিয়ে থাকে আপনি তা অতিসত্ত্বর রক্ষা করুন।
১৫. তাদের জন্য নামায আদায় করুনঃ
আপনার মরহুম পিতামাতার জন্য বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করুন।
১৬. কুরআন তেলোয়াত করুনঃ
অনেকেই পিতামাতা মারা গেলে হুযুর দিয়ে কুরআন তেলোয়াত করান টাকার বিনিময়ে। এতে আসলে ওই হুযুরেরই সওয়াব হচ্ছে পিতামাতার নয়। তাই নিজের মরহুম পিতামাতার জন্য নিজেই বিশুদ্ধভাবে প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য হলেও কুরআন তেলোয়াত করুন।
পরিশেষে, হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেনঃ এক ব্যক্তি জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান পাবে! তখন সেই ব্যক্তি জান্নাতে গিয়ে জিজ্ঞেস করবেঃ আমি জান্নাতে কিভাবে আসলাম? উত্তরে তাকে বলা হবেঃ তোমার সন্তানদের প্রার্থনা আর তোমার সন্তানদের সমস্ত ভাল কাজের জন্য তোমাকে ক্ষমা করা হয়েছে। সুবহানআল্লাহ!
সুতরাং যতো সম্ভব মা বাবার জন্য বেশি বেশি দোয়া করুন। আপনার এই দোয়ার কারনে আপনার মা বাবা নাজাত পেতে পারেন। দয়াময় আল্লাহ প্রত্যেক মা বাবাকে ক্ষমা করুক।
আমিন।
আমার কয়েক'টা আটিক্যালের লিংক, এখানে ক্লিক করেই পড়তে পারেন-
ঝিনুকে মুক্তো হলে চুপ হয়ে যায় মুখ খোলে না!
পথে পথে চলতে চলতে হঠাৎ একদিন থেমে যাবো
পৃথিবীতে অনেক খারাপ মানুষ আছে, কিন্তুএকটাও খারাপ বাবা নেই, কেন?