• Home
  • Blog
  • Blog

কি ভাবে আপনার সন্তানের সাথে সেক্স নিয়ে কথা বলবেন?

সেক্স এডুকেশন যেটা নিয়ে আমরা কেউ ই কথা বলতে চাই না। কিন্তু আমাদের বাচ্চাদের জন্য এই Sex Education যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবং এ বিষয়ে কিছু কথা আপনার না জানলেই নয়।

চলুন শুরু করা যাক।

আপনার সন্তান Sex সম্পর্কে ভুল ভাল তথ্য জানার আগেই আপনার তার সাথে কথা বলা উচিত।

বাচ্চাদের সাথে সেক্স সম্পর্কে কথা বলার জন্য আপনার পচ্ছন্দের বিষয় নাও হতে পারে, কিন্তু বিষয়টি অতীবও গুরুত্বপূর্ণ।

গবেষণায় দেখা যায় যে বাচ্চা এবং কিশোর- কিশোরীরা সেক্স বিষয়ে তাদের পিতামাতার সাথে নিয়মিত কথোপকথন করে তাদের যৌন ঝুঁকিতে পড়ার আশংকা কম থাকে। অন্যান্য বাচ্চাদের তুলনায়।

আসুন একটি পরিসংখ্যান দেখি-

বাংলাদেশে ধর্ষণ, বিশেষত শিশু ধর্ষণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে শিশু ধর্ষণগত বছরের তুলনায় 102% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

পুরুষরা বেশী হিংস্র হয়ে উঠছে এবং শিশুদের দিকে ঝুকছে-যেহেতু তারা সহজ লক্ষ্য।

সূএ:ঢাকা ট্রিবিউন-জুন২২/২০২১

ধর্ষণ কে সামাল দেওয়ার একমাএ উপায় যৌনশিক্ষা (Sex Education the only way to tackle rape?) Click here

আসুন বাহিরের দেশ আমেরিকার একটা পরিসংখ্যান দেখি-

৭.৫% পিতা-মাতা তাদের বাচ্চাদের সাথে যৌনতা সম্পর্কে কথা বলে, এবং তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এ ব্যাপারে কথা বলতে। এবং অভিভাবকরা উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজে যৌন শিক্ষা প্রোগ্রাম গুলোকে অত্যাধিক সমথন করে থাকেন।এবং তারা এ ও বিশ্বাশ করে যে এই প্রোগ্রাম এ জন্ম-নিয়ন্ত্রণ সহ বিভিন্ন বিষয়াদি অন্তভূক্ত থাকা উচিত।

কিন্তু এখন কথা হলো আপনি কতটুকু বলবেন এবং কোন বয়স থেকে বাচ্চাদের সাথে sex নিয়ে আলোচনা করবেন সেটা জানাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমি সেটাই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো।

আমাদের দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে সেক্স মানে একটা অচ্ছুৎ বিষয়। আমরা কিছুতেই মানতে পারিনা, অথবা মানতে চাই না যে সেক্স জীবনযাপনের একটি অপরিহার্য অংশ। এবং এ কারণেই আমরা প্রতিটা বাবা- মা সেক্স নিয়ে কথা বলতে সন্তানের সাথে সাচ্ছন্দ্য বোধ করি না।

এবং সেই সাথে যেহেতু আমাদের দেশে এখন ও sex education বিষয়ক বিষয়াদি পাঠ্য বইতে সে ভাবে অন্তর্ভুক্ত নয় এবং যে টুকু আছে সে টুকু ও বেশিরভাগ স্কুলের শিক্ষকরা এড়িয়ে যেতেই পচ্ছন্দ করে এবং তারা নিজেরাও সাচ্ছন্দ্য বোধ করে না এ বিষয়ে কথা বলতে, কারণ তারা নিজেরাও বুঝে উঠতে পারে না কি বলবেন-

তখন আপনি আপনার সন্তানের অভিভাবক হিসেবে নিজের কাঁধে তুলে নিতে পারেন এই এর বিষয়টি।

How to explain to the child what sex is

Image : iol.co- শিশুর জানার আগ্রহ কে দমিয়ে দেবেন না

কোন বয়স থেকে সন্তানের সাথে সেক্স এডুকেশন নিয়ে কথা বলা উচিত?

আপনার বাচ্চার বয়স যখন ২ থেকে ৫ বছর-

এই বয়সী বাচ্চাদের কে আপনি লিঙ্গ সম্পর্কে ধারণা দিতে পারেন। লিঙ্গ সম্পর্কিত সাঃ জ্ঞাণ দেবার জন্য এই বয়সটা চমৎকার। এই বয়সে শিশুরা সমলিঙ্গের অন্য শিশুদের কে এবং মেয়ে শিশুরা অন্য মেয়ে শিশুদের কে লিঙ্গের ভিওিতে চিহ্নিত করতে পারে।

শুধু তাই নয় এই বয়সে তার নিজের এবং বিপরীত লিঙ্গের শিশুদের সাথে থাকা পার্থক্য সমূহ চিহ্নিত করতে পারে।

বাচ্চার বয়স যখন ৬ থেকে ৮ বছর?

এই বয়সী বাচ্চাদের সাথে অল্প কিছু সেক্স নিয়ে আপনার আলোচনা শুরু করা উচিত!

এই সময়টা তারা স্কুলে যাওয়া শুরু করে এবং কিছু শারিরীক ও মানসিক বিকাশে বিকশিত হওয়া শুরু করে করে -তারা তখন নতুন বন্ধুদের সাথে নতুন পরিবেশে নতুন কিছু শেখা শুরু করে।

তবে আপনাকে একটা বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনি একেবারেই সব বলে ফেলবেন এ এরকম কখনই ভাবেব না, তাকে বারবার বলতে হবে এবং বয়সের সাথে সাথে বলার ধরণ এবং আপনি কতটুকু গভীর ভাবে তার সামনে সেক্স কে উপস্থাপন করবেন তাও আপনার মাথায় রাখতে হবে। কারণ একজন ৬ বছরের বাচ্চাকে আপনি যতটা শোনাতে / বলতে পারবেন একটি ৮/১০/ ১২ বছরের বাচ্চাকে সেক্স সম্পর্ক আরো গভীর ভাবে বলতে পারবেন।

একেবারে প্রথমেই যদি সব বলে ফেলেন তাহলে সে এটা নিতে ও পারবে না এবং বেশির ভাগ সময় বুঝতে ও পারবে না।

এই সময়ে তাদের মধ্যে নানান প্রশ্নের সৃষ্টি হতে থাকে। তাদের মনে তখন অনেক প্রশ্ন?

  • যেমন- বাচ্চা কি ভাবে পেটে আসে?
  • পেট থেকে কি ভাবে বাচ্চা বের হয় ইত্যাদি জাতীয় প্রশ্ন সমূহ?

হঠাৎ করেই এই জাতীয় প্রশ্নের সম্মুখীন যেনো আপনাকে না হতে হয় তার জন্যই আপনার বাচ্চার সেক্স এডুকেশন প্রয়োজন।

এই বয়সের শিশুদের বুঝিয়ে বললে তারা তুলনামূলক যৌক্তিক উওর গুলো অনুধাবন করার সামর্থ্য রাখে।

তারা যৌনতা সম্পর্কে প্রশ্ন করতে এ সময় লজ্জাবোধ করে না। বরং দেখা যায় বাবা- মারা'ই প্রথম শুনে লজ্জাবোধ করছে বা প্রশ্নটা এড়িয়ে যেতে চাইছে।

এই বয়সী শিশুদের যে কোন কিছু শেখানো সহজ। তাদের কৌতুহল বা জিগাসার যথাযথ ব্যাখ্যা না পেলে নিজেরাই কল্পনার জোরে একটা ব্যাখ্যা দাড়া করানোর চেষ্টা করে। তাই বাবা-মা’র উচিত সঠিক তথ্য প্রদান করা।

শিশুরা অনেক সময়ই প্রথমবারেই সব কিছু বুঝে উঠতে পারে না। তাই তাদের সময় নিয়ে বারে বারে ধৈয্য ধরে একই জিনিস বুঝিয়ে বলতে হবে।

তাহলে আসুন জেনে নেই শিশুদের যে সব বিষয়ে শেখানো প্রয়োজন:

#১. দেহের গোপনাঙ্গের যথাযথ নাম 

বোঝানো যে দেহের গোপনাঙ্গ নয়তো গোপন। দেহের গোপনাঙ্গ বা private parts দেহেরই একটা অংশ, আপনি যদি সঠিক ভাবে সেটা তাকে জানাতে ও বোঝাতে পারেন তাহলে সে দেহের কোন Privaet parts নিয়ে সমস্যা বা নিযাতনের শিকার হলে সে তখন কথা বলতে পারবে, তাই তাকে সঠিক তথ্য জানতে সাহায্য করুন তাতে আপনারই লাভ বেশী হবে, কারণ আগামী দিনে সে যত বড় হয়ে উঠবে আপনি তার সাথে তত সুন্দর ভাবে Sex Education নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন। Sex Education এর প্রথম পাঠ আপনি এগিয়ে রাখছেন।

#২. জেন্ডার বা লিঙ্গ

শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে বাচ্চারা ১৮ থেকে ২৪ মাস বয়স থেকেই লিঙ্গ সংক্রান্ত বিষয়টা অল্প অল্প করে বুঝতে পারে।

#৩.সন্মতি/Good Touch এবং Bad Touch সম্পর্কে ধারণা দেওয়া

শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে যত দ্রুত আপনি বাচ্চাকে সন্মতি বা ভালো অনুভূতি এবং খারাপ অনুভূতি সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেবেন ততই আপনার জন্য মঙ্গল।

এই চিএ টি লক্ষ্য করুন-

Good Touch এবং Bad Touch সম্পর্কে ধারণা দেওয়া

Good Touch এবং Bad Touch সম্পর্কে ধারণা দেওয়া

Image: thestorymerchants


ছেলে শিশু এবং মেয়ে শিশু উভয়কেই এ ব্যাপারে জানাতে হবে।

তাদের শরীরের কোন কোন স্হানে কেউ ধরতে পারবে এবং কোন কোন স্হানে ধরতে বা টাচ করতে পারবে না- কোনটা গুড টাচ এবং কোনটা ব্যাড টাচ এবং এ ধরণের অপ্রিতিকর কোন পরি স্হতির সামনে পড়লে যেনো সে বাবা- মা’কে খুলে বলতে পারে ।এবং এই সময়ে তাকে “না” বলাও শিখতে হবে। এই “না” বলাটা তার জীবনে যে গুরুত্বপূণ তাও তাকে বয়সের সাথে সাথে বোঝাতে হবে।

শুধুমাএ “না” বলতে পারার জন্য যে জীবনে অনেক অনাকংখিত ঘটনার হাত থেকে পরিএাণ পেতে পারে তাও তাকে বয়সের সাথে সাথে বোঝাতে হবে।

বাবা-মা তাদের বাচ্চাকে এটা ও শিখাবে যে গোপনাঙ্গ বা Privaet parts অন্য কেউ স্পর্শ করার অধিকার রাখে না। এটা তার একন্ত ব্যক্তিগত অঙ্গ। এটা কেউ ধরা ছোয়ার চেষ্টা করলে অবশ্যই সে যেনো তার বাব-মা’কে জানায়।

#৪. প্রাইভেসী বা গোপনীয়তা

এই বয়সী বাচ্চাদের কে বোঝাতে হবে সব মানুষের প্রাইভেসী বা গোপনীয়তা বলে একটা ব্যাপার আছে। বাচ্চা যদি নিজের রুমে আপন মনে খেলতে থাকে তাহলে তার অনুমতি নিয়ে আপনি শেখানে প্রবেশ করুন-এতে সে অন্যের প্রাইভেসীও গুরুত্ব শিখে যাবে- আপনাকেও বাচ্চার সামনে কোন অপ্রতিকর পরিস্হতির মুখোমুখি হতে হবে না।

এইধাপ গুলো আলোচনা করা মানে আপনি আপনার বাচ্চার সাথে কথা বলতে আরো সাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন আপনার শিশু ও আপনার কথার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবে।

আপনার বাচ্চার বয়স যখন ৯ থেকে ১০ অথবা ১১বা ১২

সীমা/ পরিসীমা নিধারণ”না” বলতে পারা এবং স্পশ বিষয়ক কথা তো আগেই আপনার সন্তানের সাথে আলাপ করছেন এবার আরেকটু এগিয়ে আলাপ করুন বয়স ভেদে। এই ব্যাপার গুলো ভেঙ্গে বলুন আরো বড় করে গল্পকারে বলুন। শরীরের কোন স্হানে কেউ ধরতে পারবে, কোথায় ধরে আদর করতে পারবে ,কোথায় ধরতে পারবে না। শরীরের স্পর্শকাতর বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তার সাথে আলাপ করুন।

এই বয়সে আপনি তাকে ছোট করে যৌণ নির্যাতনের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরী করে দিতে পারেন-তার মনের ভেতর। দরকার হলে বেসিক থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করুন।

ক’দিন পর আবার তার সাথে আলাপ করুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন সে বুঝতে বা আত্মস্থ বা (Assimilated) করতে পেছে কিনা, তাকে বুঝে আলাপ করুন।

#৫. সাইবার নিরাপওা / সাইবার বুলিং

এই বয়স থেকেই তার সাথে সাইবার নিরাপওা / সাইবার বুলিং সম্পকে অল্প অল্প করে আলাপ করুন। কারণ এখন তার হাতে মোবাইল / কম্পিউটার / ইন্টারনেট। এগুলো থেকে আপনি তাকে চাইলে ও দূরে রাখতে পারবেন না।

কি ভাবে এই ডিজিটাল জগতে সে বিচরণ করবে কতটুকু তার বিচরণ ক্ষেএ,  কোন বিষয় সে দেখতে পারবে, কোন বিষয়ে না, এই সব ব্যাপারে তার সাথে সরসরি আলাপ করুন।

আপনি আলাপ করলে সে বুঝতে পারবে এবং এটা ও তাকে বলুন আপনার অনুমতি ও উপস্হতি ছাড়া এখন সে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে না অথবা এই সময়টুকু ব্যবহার করতে পারবে।

এই বার আমরা আসি আপনার বাচ্চাকে কি ভাবে বুঝাবেন সেক্স কি?

(How to talk about sex with your child?)

বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী ৬-৮ বছরের বাচ্চারা এই বিষয়ে বেশী প্রশ্ন করে থাকে।প্রশ্ন শুনে আতকে উঠবেন না বা এড়িয়ে যাবেন না। স্মার্টলি উওর দিন পরিস্হতি সামলে নিন।

তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে এই বয়সী বাচ্চারা সেক্সের বিস্তারিত কায-পদ্ধতি জানার উপযুক্ত নয়। তবে এটুকু বোঝানো যেতে পারে সেক্স এক ধরণের ইমোশন বা আবেগীয় ব্যাপার।

আরেটু ধারণা দিন এভাবে যে কোন কাগজ বা ফরম ফিলাপের সময় সেক্স শব্দ টি ব্যবহার করা হয় যেটা বাংলায় লিঙ্গ।

যেমন- সেক্স কি?-লিঙ্গ কি? নারী না পুরুষ – টিক চিন্হ দিন।

what is gender

আর বড়রা ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য গোপনে একান্ত ভাবে একে অন্যকে ঘনিষ্ট ভাবে স্পর্শ করে থাকে, তখন সেটা কেও সেক্স বলে।যদি আপনার সন্তান নিতে পারে বা আরো জানতে চায় তাহলে আপনি তাকে তার বয়স উপযোগী আরো কিছু টা সেক্স বিষয়ে ধারণা দিতে পারেন।

#বয়সন্ধি:

আপনার সন্তানের সাথে সেক্স সংক্রান্ত আলাপ সহজে শুরু করার সময় হলো বয়: সন্ধিকাল।

সন্তানের বয়স যখন ৬ বা তার আশেপাশে সহজেই তার শরীরের পরিবর্তন নিয়ে আলোচন শুরু করতে পারেন।

প্রয়োজনে তার শিশু বয়সের ছবি নিয়ে তাকে দেখান, তার কি কি শারীরিক পরিবর্তন হয়েছে? আপনার জন্য সহজ হবে কাজটা।

বাচ্চাকে এটা ও বলতে পারেন বয়: সন্ধি হলো এমন একটা সময় যখন তোমার শরীর বাচ্চার থেকে বড়দের শরীরে পরিবর্তন হওয়া শুরু করে।

physical change body children

শারীরিক পরিবর্তন শিশুদের শরীরের Image-learn.e-limu.org

এটি একটি চলমান বিষয় বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনাকে আপনার আরো তথ্য দেওয়ার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে এবং আপনাকে কথা বলার যে কোন সুযোগ কে কাজে লাগাতে হবে।

# আপনি কি ভাবে বলবেন-

  • শান্ত থাকুন-বাচ্চার যে কোন প্রশ্নে শান্ত থাকুন তার উপর সময় নিয়ে উওর দিন।
  • সহজ ভাবে উওর দিন- কথা প্যাচাবেন না।
  • শিশুর জানার আগ্রহ কে দমিয়ে দেবেন না।
  • প্রতিদিনের সুযোগ কে কাজে লাগান।

#৯-১২ বছরের বাচ্চাকে আরো যে তথ্য তাকে আপনি জানাতে পারেন-

ইতিমধ্যেই আপনি আপনার সন্তানের সাথে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই বয়সে সে গুলোই আরেকটু বিস্তারিত ভাবে বলবেন।

#অতিরিক্ত যোগ করবেন

#মাষ্টারবেশন

এই ব্যাপারে আপনি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার কথাই তাকে বলবেন এবং ধর্মীয় দিক থেকে ও কিছু আলোচনা করবেন।

মেয়েদের ক্ষেএে পিরিয়ড এবং উদীয়মান স্তন সম্পর্কে তাকে প্রাথমিক ধারণা দিয়ে রাখুন এবং তাকে আসস্থ করুন এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

এই সময় সন্তান কে পর্ণগ্রাফির কু-প্রভাব সম্পকে জানান-ধর্মীয় এবং পারিবারিক মূল্যবোধ সম্পর্কে তাকে বুঝিয়ে বলুন।

এই সময় তা সাথে আরো আলাপ করুন পিউবিক হেয়ার তথা গোপনাঙ্গে চুলের আধিক্য সম্পর্কে ।

বোঝাতে চেষ্টা করুন সময়ের সাথে সাথে ছেলেদের কাধ চওড়া হতে থাকে, পেশী পুষ্ট হয়, চুল-দাড়ি বাড়ে, কন্ঠস্বর গাঢ় হয় এবং তাদের ধারণা দিন, শুক্রাশয় তথা টেস্টিস (Testis)এ শুক্রানু বা স্পাম (Sparm) উৎপন্ন হতে শুরু করে-এভাবেই ছেলেরা ও বাচ্চার বাবা হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠে।

আপনার এই ছোট ছোট কিন্তু গুরুত্বপূণ তথ্য গুলো তাকে ম্যাচিউর আচরণ করতে সাহায্য করবে। সে যখন বিজ্ঞান বিষয়ে “বায়োলজি” পড়বে যখন তার সামনে “প্রজনন” চ্যাপ্টার আসবে তখন সে আর মুখ টিপে হাসবে না-বোঝার চেষ্টা করবে এবং তার আচরণ হবে পরিণত মানুষের মত।

সন্তানের জন্য বাবা-মা থেকে আর কোন ভালো শিক্ষক নেই, আর ঘর থেকেই আসল শিক্ষার শুরু।

আপনার শিশুর মানসিক স্বাস্হ্য নিশ্চিত করতে তাকে তথ্য দিয়ে সহয়তা করুন, বাইরে থেকে ভুল ভাল তথ্য বা ইন্টারনেট থেকে অতিরিক্ত তথ্য পাবার আগেই আপনি তার সাথে খোলামেলা আলোচনা করুন। কথা বলুন কথা বললেই সমাধান মিলবে।

আমার কয়েক'টা আটিক্যালের লিংক, এখানে ক্লিক করেই পড়তে পারেন-

ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো

ঝিনুকে মুক্তো হলে চুপ হয়ে যায় মুখ খোলে না!

পথে পথে চলতে চলতে হঠাৎ একদিন থেমে যাবো

পৃথিবীতে অনেক খারাপ মানুষ আছে, কিন্তুএকটাও খারাপ বাবা নেই, কেন?

পুরান ঢাকা:স্মৃতির চাদরে মোড়া-কি নেই এখানে?

Click Here to Leave a Comment Below 0 comments

Leave a Reply: