ক্যাপ্টেন শুভমের লকডাউন

‘ মা, করোনা'র মালিক কে?’ ভ্রু কুঁচকে বিজ্ঞের মতো প্রশ্ন করলো শুভম।

ডাইনিং রুমের বেসিনে সাবান দিয়ে হাত ধুতে ধুতে এমন কৌতুহলী প্রশ্নগুলোই করছে সে।

সাত বছর বয়সী পুত্রের এমন অদ্ভুত প্রশ্নের জবাব কি দিবেন বুঝে উঠতে পারছেন না শুভমের মা।

--‘মা, করোনার মালিক কেন ভাইরাসটাকে ছড়িয়ে দিলো পৃথিবীতে? পৃথিবীর মানুষগুলো কি এমন পাপ করেছে যে করোনা সব মানুষ মেরে ফেলতে চাইছে?’

শুভমের এমন প্রশ্নের কোন উত্তর মায়ের জানা নেই । তিনি বারান্দার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে বাইরের রাস্তায় চোখ রাখেন। জনমানবশূন্য রাস্তা। দশ বিশ মিনিট পরপর কাউকে হয়তো দেখা যায়। রিকশাও তেমন চোখে পড়ে না।

শূন্য রাস্তার মতো মায়ের চোখেও শূন্যতা।

লকডাউনে জনশূন্য ঢাকার একটি শূন্য রাস্তা

শূন্য রাস্তার মতো মায়ের চোখেও শূন্যতা।

শুভম বোঝে না, কেন তার এসব প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারে না।

সে মনে মনে ভাবে করোনার মালিকের সন্ধান তার চাই-ই চাই। এই করোনার  জন্য সে দুই মাস ধরে ঘরের মধ্যে আটকে আছে। স্কুলে যেতে পারছে না। কোথাও বেড়াতে যেতে পারছে না। রেস্টুরেন্টে যেয়ে নিজের পছন্দের খাবারও খেতে পারছে না।

এই মন খারাপের ভিড়ে নতুন কারণ যোগ হয়েছে আরো একটি।

তার কাছের বন্ধু দিহান সেদিন ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটে গিয়েছিলো। কিন্তু শুভম মার্কেটে যেতে পারছে না। তার মা তাকে নিয়ে যাচ্ছেন না। বাবা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ‘করোনা যতদিন থাকবে, ততদিন মার্কেটে যাওয়া যাবে না। ভিড় হয় এমন জায়গায় এসময় যাওয়া উচিত না।‘

করোনা ভাইরাসের কথা শুভম এখন মোটামুটি ভালোই জানে। পৃথিবীজুড়ে করোনা নামের এই ভাইরাস নাকি লাখ লাখ মানুষকে মেরে ফেলছে। এই করোনার ওপর তার বেশ  রাগ হয়েছে । বাবা-মার ওপরও তার রাগ অনেক। দিহান যদি পারে, সে কেন মার্কেটে যেতে পারবে না?

শুভমরা ঢাকায় থাকে। সে ক্লাস টু-তে পড়ে। তার ছোট বোনের নাম শাওলি। শাওলি এখনো স্কুলে যাওয়া শুরু করেনি। তবে অ, আ, ক, খ পড়া হয়ে গেছে। শুভমই তাকে এসব শিখিয়েছে।

বয়সে ছোটদের তো বটেই, বেশি বয়সের বাচ্চাগুলোকেও শুভম সবসময় সাহায্য করতে চায়। সবাইকে তার ছোটখাটো বুদ্ধিগুলো ভাগ করে দেওয়া তার নিত্যদিনের অভ্যাস। অবশ্য এই গুণটা তার মধ্যে আরো বেশি দেখা দিয়েছে স্কুলে ক্যাপ্টেন হওয়ার পর থেকে।  শুভম তার ক্লাসে ক্যাপ্টেন। ক্যাপ্টেন হিসেবে তাকে সবার দিকে খেয়াল রাখতে হয়। স্কুলের বাইরেও তার মধ্যে ক্যাপ্টেন ক্যাপ্টেন ভাব এসে গেছে।

শুভমের স্কুল গত দুই মাস যাবত বন্ধ। স্কুল বন্ধের কারণ প্রথমদিকে ঠিক পুরোপুরি বুঝে উঠতে না পারলেও এখন এটুকু সে জেনে গেছে, সারা দুনিয়ায় একটি রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। যার জন্ম হয় করোনা নামের একটি ভাইরাস থেকে । এই রোগ খুবই ভয়াবহ এবং একজন রোগীর ছোঁয়া থেকে তা যে কারো শরীরে ঢুকে যেতে পারে। তাই সব স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তবে এই রোগটি যাতে না হয় তার জন্য কি কি করা উচিত সেগুলো বাবা-মা এবং টেলিভিশনের বরাতে সে এরই মধ্যে জেনে গেছে । সে শাওলিকেও মাঝে মাঝে বলে, ‘বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। আশেপাশে পড়ে থাকা জিনিসপত্র ধরবে না। হাত লেহন করা যাবে না, নাকে আঙ্গুল না ঢোকানো যাবে না, চোখ ঘষাঘষি না করা যাবেনা।‘ এগুলো শাওলিকে বারবার বলে। ছোট্ট বোনটি এতোকিছু বোঝে না। গোল গোল চোখ করে ভাইয়ার কথা শোনে। শাওলিকে বারবার বলা এবং সে মানছে কিনা সেটা  খেয়াল করাও যেন শুভমের খেলার অংশ হয়ে গিয়েছে আজকাল।

তাদের বাবা-মা  তাদের খাবারের থালা-বাটি, ব্যবহারের তোয়ালে এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ছোটবেলা থেকেই আলাদা রাখছেন যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করে। বর্তমান সময়ে খুবই সতর্কতার সাথে তাঁরা এটা নিশ্চিত করছেন।

ভিড় হতে পারে এমন এলাকা বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শুভম ও শাওলির যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা। বাসার পাশে মহল্লার ভিতরে একটা ছোট পার্ক আছে। শুভম সেখানে বন্ধুদের সাথে খেলতো। আপাততঃ তার পার্কেও যাওয়া বন্ধ।

ক্যাপ্টেন শুভম তার বন্ধুদেরকে বলে দিয়েছে, এখন থেকে পার্কে আসা যাবে না। ঘরেই থাকতে হবে।

কিছুদিন আগেও শুভমরা যখন বাইরে বের হতো তখন বাবা-মাসহ সবাই নিজেদের সুরক্ষার নিয়মগুলো মেনে চলতো। সে ও তার বোন চাইল্ড মাস্ক ব্যবহার করতো। বাইরে থেকে ফিরে এসে কাপড় চেঞ্জ করে সাধে সাথে হাত ও মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতো।

দুই সপ্তাহ আগে শুভমের মামাতো বোন শুক্তিকার টিকা দেওয়ার সময় হয়েছিল। শুক্তিকার মা ফোন করেছিলেন শুভমের মাকে, করোনার এই দুঃসময়ে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কি কি করতে হবে তা জানতে চাইরেন। শুভমের মা জানেন, এক্ষেত্রে কি করতে হবে। তিনি জানালেন,  মহামারী চলাকালে টেলিফোনের মাধ্যমে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে টিকা দানের সময়কাল ঠিক করে নেওয়া যায়। তবে  শিশুর টিকার সময় চলে এলে যথাযথ সুরক্ষা নিয়ে বাচ্চাকে টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে যেয়ে টিকা দেওয়া উচিত। যদি টিকার সময় পরিবর্তন করা যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই তা করতে হবে, এটাও জানিয়ে রাখলেন তিনি।

চোখের পলকে সব কেমন পাল্টায় গেলো!!

করোনা চোখের পলকে সব কেমন পাল্টায় গেলো!!

শুভমরা রাজধানীতে থাকে। তারা স্বাস্থ্য সচেতনতার অনেক খুঁটিনাটি জানলেও মফস্বলে বা গ্রামে বাস করা সব বাবা-মা কি এতো কিছু জানেন?

সব জায়গায় কি সচেতনতার প্রচারণা যথাযথভাবে হয়েছে? তাঁদের অনেকেই জানেন না, শিশুর যে দেখাশোনা করে, তার হাত সব সময় পরিষ্কার রাখতে হয়। শিশুর সামনে কখনো হাঁচি কাশি দেওয়া অথবা ফুঁ দেওয়া উচিত না। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে শিশুকে চুমু খাওয়াও নিষেধ। বেশির ভাগ বাবা মা কি জানেন, খাওয়ানোর সময় ফুঁ দিয়ে গরম খাবার ঠান্ডা করা উচিত না। তাঁদেরকে জানতে হবে, আগে থেকে খাওয়া কোন কিছু শিশুর মুখে দেওয়া স্বাস্থ্যকর না। শিশুর পরিচর্যার সময় বাবা মা অথবা শিশুর তত্বাবধায়ককে মাস্ক পরতে হবে। বাবা-মা, অভিভাবক অথবা শিশুর তত্ত্বাবধায়কের যদি জ্বর, ঠান্ডা, শুকনো কাশি, গলাব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয় তবে সাথে সাথেই শিশুর পরিচর্যা ছেড়ে দিয়ে অন্য কারো হাতে সেই দায়িত্ব দিয়ে দিতে হবে এবং নিজেকে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় নিয়ে নিতে হবে।

দুই মাস হলো দেশের স্কুলগুলো বন্ধ। প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আগামী সেপ্টেম্বরের আগে স্কুল খুলবে না। এসময় শিশুদের পড়াশোনার ওপর যেন কোনভাবেই নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।

সরকারও এক্ষেত্রে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে দূরশিক্ষণ অনুষ্ঠান চালু করা হয়েছে, যার মধ্য দিয়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যবই অনুযায়ী শিক্ষাদান শুরু করা হয়েছে। অনলাইন শিক্ষার কৌশল ও শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়কে গণমাধ্যমে সম্প্রচারের মতো দূরবর্তী শিক্ষণ পদ্ধতিসহ শিক্ষার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা, এবং সকল শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সেবাসমূহের সুযোগ নিশ্চিত করতে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করাই এর মূল লক্ষ্য। সারাদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে এই শিক্ষণ পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ বেতারকেও ব্যবহার করার চিন্তা করছে সরকার।

স্কুল বন্ধ থাকাকালে দূরবর্তী শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য অভিভাবকদেরকেই মূল দায়িত্ব নিতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের বিষয়ে স্কুলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ। শুভমের মতো দেশের সব শিক্ষার্থী এখন সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে নিয়মিত দুরশিক্ষণে ক্লাস করছে। বাবা মা এই ক্লাস করার জন্য তাকে সাহায্য করছেন। তাঁরা শাওলিকেও টেলিভিশনে প্রাক-প্রাথমিক ক্লাস করতে উৎসাহ দিচ্ছেন।

এইবিষয়ে স্কুলে, নিজেদের বাড়িতে এবং তাদের কমিউনিটিতে ভাইরাসটির বিস্তার রোধ ও নিয়ন্ত্রনে উৎসাহ যোগাতে শিশুদের দূত হিসাবে শিশুরাই এগিয়ে আসতে পারে বলে অভিমত দিয়েছে ইউনিসেফ। রোগটির প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অন্যদের সাথে কথা বলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একাজটি করতে পারে। যে কাজটি আমাদের ক্যাপ্টেন শুভম করে চলেছে।

উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইবোলা ভাইরাসজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবের সময় গিনি, লাইবেরিয়া এবং সিয়েরালিওনে নিরাপদ স্কুল নির্দেশিকাগুলো এভাবেই কার্যকর করা হয়েছিল যা ভাইরাসের স্কুল-ভিত্তিক সংক্রমণ রোধে সহায়তা করেছিল।

শিশুদেরকে এবং পরিবারকে রক্ষার জন্য হাত ধোয়া ও অন্যান্য পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সঠিকভাবে জানাতে অভিভাবকদের পাশাপাশি শিশুদেরকেও সচেতন থাকতে হবে। এছাড়াও, অভিভাবকদের উচিত শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান করা; বাড়িতে থাকাকালে যেন শিশুরা সকলের সাথে সদয় আচরণ করে সে পরামর্শ দেওয়া এবং ভাইরাসটি সম্পর্কে নিজেদের মধ্যে কথা বলার সময় গৎবাঁধা চিন্তা এড়াতে কুসংস্কার ও বৈষম্য রোধে তাদের উৎসাহিত করা বড়োদের দায়িত্ব। শিশুদের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে এবং তাদের উদ্বেগগুলো প্রকাশ করতে উৎসাহ যোগানো উচিত। শিশুদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম নিশ্চিত করে তাদেরকে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়াতে হবে।

স্কুল বন্ধের দিনগুলোয় শুভমের দিন খুব আনন্দে কাটছে।

স্কুল বন্ধের দিনগুলোয় শুভমের দিন খুব আনন্দে কাটছে

স্কুল বন্ধের দিনগুলোয় শুভম-শাওলির দিন খুব আনন্দে কাটছে। অফিস বন্ধ বলে তাদের বাবা-মা -বাসায় যথেষ্ট সময় দিতে পারছেন। স্কুল বন্ধ থাকলেও তাদের বাসায় বসে পড়ালেখা থেমে থাকেনি। বাবা-মা তাদের পাঠ্যবই পড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন গল্পের বইও পড়তে দিচ্ছেন। শুভমের ছবি আঁকার শখ আছে, তার ছবি আঁকার চর্চাও চলছে পুরোদমে। শাওলির গান শেখাও নিয়মিত চলছে। লকডাউনের সময়গুলো যেন তারা গুনগতভাবে কাটাতে পারে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখছেন বাবা-মা।

তাদের দাদী থাকেন তাদের সাথে। তাঁর সাথে নানান গল্প করে, নানান ঘরোয়া খেলা খেলে তাঁদের সময় কেটে যায়।

শুভমের মোবাইল ফোন আর আইপ্যাডে গেইম খেলার ঝোঁক আছে। এই দীর্ঘ বন্ধের সময় একটানা দীর্ঘক্ষণ যে কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসে চোখ রাখা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই শুভমের বাবা-মা এ বিষয়ে খুব সাবধানী। তাঁরা একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাচ্চাদেরকে মোবাইলে গেইম খেলার সুযোগ করে দেন।

মন খারাপ দুর করার জন্য শুভম ছবি আঁকতে বসলো।। তার ছবির বিষয় হলো যুদ্ধ। সে আঁকছে একদল মানুষ একটা ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করছে। কিন্তু সে ভাইরাসের ছবি আঁকতে পারছে না। সে তো ভাইরাসকে দেখেই নাই। তবুও সে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাবের ছবি আঁকার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

হঠাৎ তার মা এসে জানালো দিহানের চাচার করোনা রোগ হয়েছে। শুভম চিন্তায় পড়ে গেলো। সে শুনেছে, এই রোগের কাউকে ছুঁলে তারও রোগ হতে পারে।

ছবি আঁকা বাদ দিয়ে সে ভাবতে লাগলো, দিহানকে তো ডাক্তারের সাথে কথা বলতে হবে। সে জানে, এসময় ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হয়। দিহানের উচিত বিষয়টা জানিয়ে প্রতিবেশী ও আশেপাশের মানুষদেরকে সচেতন করে দেওয়া। স্কুল খোলা থাকলে শিক্ষক-বন্ধুদেরকেও জানিয়ে রাখতে হতো এটাও সে এতদিনে জেনে গেছে।

ক্যাপ্টেন শুভম বসে থাকতে পারলো না। চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়লো। দিহানকে একটা ফোন করতে হবে।

আমার কয়েক'টা আটিক্যালের লিংক, এখানে ক্লিক করেই পড়তে পারেন-

পথে পথে চলতে চলতে হঠাৎ একদিন থেমে যাবো

পৃথিবীতে অনেক খারাপ মানুষ আছে, কিন্তুএকটাও খারাপ বাবা নেই, কেন?

কি ভাবে আপনার সন্তানের সাথে সেক্স নিয়ে কথা বলবেন?

খেলুন ডুয়োলিঙ্গো: শিখুন নতুন নতুন ভাষা!

অতিথি লেখক বন্ধুবর পরীক্ষিৎ চৌধূরী একজন পুরোদস্তুুর সরকারী কর্মকর্তা, আছেন তথ্য অধিদফতরে,সিনিয়র তথ্য অফিসার পদে, শত ব্যস্ততার মধ্যে ও লেখালেখির চর্চা ধরে রেখেছেন, এবং নিয়মিত কলাম লেখক বিভিন্ন দৈনিক পএিকায়।

Click Here to Leave a Comment Below 0 comments

Leave a Reply: